Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভাষা ও সংষ্কৃতি

ভাষাঃ

 

রামপাল উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত এই উপজেলাকে ঘিরে রয়েছে বঙ্গোপসাগর,ভারতের পশ্চিম বঙ্গ ও বরিশাল বিভাগের অন্যান্য উপজেলাসমূহ। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। রামপাল উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত বরিশালের ভাষার অনেকটা সামযোজ্য রয়েছে। রামপালের মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা- সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এই এলাকার ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে রামপালের সভ্যতা বহুপ্রাচীন।  সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে রামপাল অবদানও অনস্বীকার্য। 

 

সংস্কৃতিঃ

এ জেলার গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পরিবার আদর্শ পরিবারের দৃষ্টান্ত। কৃষি তাদের প্রধান পেশা।প্রাক্বৈদিক, বৈদিক, আর্য, বৌদ্ধ , মুসলমান সব যুগের প্রভাবে এ জেলায় মিশ্র সংস্কৃতিগড়ে উঠেছে। মোরগ ডাকা ভোরে আড়মোড় ভেঙ্গে এখানে শুরু হয় দিনের নিত্যকার্যক্রম। পুরুষ হাল, বৈঠা, জাল নিয়ে নিত্য কর্মে বেড়িয়ে পড়ে। নারী মন দেয় গৃহ কাজে। মাঝে মাঝে নারী পুরুষ একসাথে মাঠে কাজ করে। পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও এগিয়ে রয়েছে। সহ-শিক্ষা কার্যক্রমও র্দীঘদিনের। পরিবারের প্রধান পুরুষ। নারী রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এখানে মাঅত্যন্ত সন্তান বৎসল। পুত্র সন্তানের প্রতি বাৎসল্যের আধিক্য রয়েছে।যু ক্তপরিবার দিন দিন লোপ পাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে মহিলারা শাড়ি পড়ে। কনেকে লাল শাড়িপরানোর রেওয়াজ রয়েছে। মেয়েরা দুহাত ভরে কাঁকন পরে। মেয়েদের পর্দা করতেদেখাযায়। স্বামী নিজ হাতে সিঁদুর পরালে মঙ্গল বেশী হয় বিবেচনায় বিবাহিতহিন্দুনারীরা স্বামীর হাতে সিঁদুর পরতে পছন্দ করে। গ্রামাঞ্চলের পুরুষরালুঙ্গিপরে। পুরুষরা সর্বত্র শার্ট পরে। ঘর গুলোতে সচরাচর চৌচালা, গোলপাতারছাউনি, বাঁশ বা কাঠের বেড়া এবং মাটির ভিত দেখা যায়। ইঁদুর বা অন্যপ্রাণীরউপদ্রব হতে  পেতেহাড়ি শিকায় ঝুলাতে দেখা যায়। শারদীয় দুর্গা উৎসব ও ঈদে উভয় সম্প্রদায়কেবর্ণাঢ্য পোষাক পরে আনন্দ করতে দেখা যায়। এলাকাবাসী নাটক , যাত্রা, মেলা, ষাঁড়ের লড়াই , নৌকা বাইচ ইত্যাদি দেখতে খুব পছন্দ করে।খেলাধুলাও তাদের খুবপ্রিয়। সন্তান জন্মের পর হিন্দুর ঘরে অন্ন প্রাশন আরমুসলমানেরঘরে আক্কিকা হয়। উভয় সম্প্রদায় দরগাহ ও পবিত্র স্থান পরিদর্শন করে।ভুত-পেত্নী, জ্বীন-পরীর অস্তিত্ব সম্পর্কে এখানে কিছু কুসংস্কার রয়েছে। ভাতও মাছ এ জেলার প্রধান খাদ্য।জেলার সর্বত্র রন্ধন প্রনালী প্রায় একই রকম।ভাটি অঞ্চলের অধিবাসীদের সঙ্গীত বিশেষ করে ভাটিয়ালী গান অত্যন্ত প্রিয়।

 

যেসব সরকারী সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা রামপালে কাজ করছে সেগুলো হলোঃ

    * উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী, রামপাল
    * সরকারী গণ গ্রন্থাগার, রামপাল